মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
অবশেষে জানা গেলো বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে লেগুনায় তুলে দেওয়া এবং বহন করা দুই ব্যক্তির পরিচয়। জনি ও স্বপন, দুইজনই লেগুনা চালক।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে তারা জানান, ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে বিশ্বরোডে নামেন ফারদিনসহ লেগুনার দুই যাত্রী। বাকিরা নামেন শেষ স্টপেজ বরপায়। ফারদিন হত্যায় এই দুই চালকের সম্পৃক্ততা পায়নি ডিবি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর লেগুনা স্ট্যান্ডে সিসিটিভি ফুটেজে ৫ নভেম্বর রাত ২টা ৩ মিনিটে সবশেষ একটি লেগুনায় উঠতে দেখা যায় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে।
এরপর থেকেই সেই লেগুনার চালক ও লেগুনায় উঠিয়ে দেয়া সাদা গেঞ্জি পড়া ব্যক্তির খোঁজে নামেন গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী গিয়ে দেখা যায় লেগুনার চালকের আসনে বসে আছেন একজন। আরেকজন যাত্রী তুলছেন। দুজনই লেগুনা চালক। ৫ নভেম্বর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে লেগুনায় তোলেন জনি। আর লেগুনা নিয়ে বরপা যান স্বপন।
স্বপন জানান, ফারদিনসহ ছয় যাত্রী নিয়ে সেদিন রওনা দেন তিনি। যাত্রী কম থাকায় ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেন তারা। বিশ্বরোডে লেগুনা থেকে নামেন ফারদিনসহ ২ জন। বাকি ৪ যাত্রী যান বরপায়।
ফারদিনের বাবা বলছেন, যাত্রাবাড়ী ছাড়া অন্য কোন ফুটেজে ছেলেকে দেখেননি তিনি।
ডিএমপি গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলছেন, ফারদিন ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারে নয়, নামেন তারাবো বিশ্বরোডে। তার মোবাইলের সবশেষ লোকেশনও চনপাড়া নয়, বিশ্বরোডের আশপাশেই।
যদিও ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ফারদিন হত্যার কারণই জানতে পারেননি গোয়েন্দারা।
গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। এর তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যার বনানী ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তার মরদেহ।