শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
চলতি বছরে কয়েক দফায় গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এছাড়া গবাদি পশু লালন-পালনের আনুষঙ্গিক সব খাতেই মোটা দাগে খরচ বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কৃষক ও খামারিরা এবার কোরবানির পশু গত বছরের চেয়ে বেশ খানিকটা চড়া দরে বেচতে চাইছেন।
তবে অর্থনৈতিক মন্দায় সংসার চালাতে হিমশিম মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশ এবার কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য হারিয়েছেন। তাই এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগল অবিক্রীত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে এ বছর যে কোরবানির পশুর দাম বেশ খানিকটা বাড়বে তার আলামত এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত বছর কোরবানির আগে বাজারে গরুর মাংস সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। এবার রোজার ঈদের পর থেকেই গরুর মাংসের দাম ধাপে ধাপে বাড়তে শুরু করে। যা এখন ৮০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। অর্থাৎ ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। গত কোরবানির আগে খাশির মাংস প্রতিকেজি ৯৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার মে মাস থেকেই তা ১ হাজার ১০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। অর্থাৎ খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, মাংসের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে কোরবানির পশুর দাম ১২ থেকে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বছরের পর বছর ধরে এ ধারা চলমান রয়েছে। এ হিসেবে এবার কোরবানির পশুর দাম ন্যূনতম ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বাড়বে।
অন্যদিকে এরই মধ্যে দেশের গ্রামগঞ্জের গৃহস্থের গোয়াল, জেলা শহরের হাট ও খামার থেকে বেপারীরা যে গবাদি পশু কিনেছেন, তা গত বছরের চেয়ে বেশ খানিকটা চড়া দরে নিতে হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। খামারি ও গৃহস্থরা বেশি দামে গরু-ছাগল বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।
কেরানীগঞ্জের আল-আমিন ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন জানান, গত বছর মাঝারি সাইজের যে গরু ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন, এবার একই ধরনের ৪৩টি গরু প্রতিটি লাখ টাকা কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি টাকায় বেপারীরা কিনে নিয়ে গেছেন। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে দাম আরও কিছুটা চড়বে বলে মনে করেন তিনি।