রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৩ অপরাহ্ন

কোটি কোটি টাকা আত্মসাত, ব্যাংক কর্মকর্তার ২১ বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক কর্মকর্তাসহ দুই আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর মধ্যে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখারুল কবীরকে ২১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই মামলার রায়ে আজম চৌধুরী নামে আরেক আসামিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর পাঁচ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সামিউল সাহেদ চৌধুরী এবং মাহমুদুল হাসান নামে দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত, চট্টগ্রামের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদকের পিপি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে মিজানুর রহমান নামের এক গ্রাহকের ১ কোটি ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকাসহ আরও একাধিক গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন-ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, চান্দগাঁও বহদ্দারহাট শাখার ব্যবস্থাপক ইখতেখারুল কবীর, একই শাখার ব্যবস্থাপক সামিউল সাহেদ চৌধুরী, হাটহাজারী ফতেয়াবাদ এলাকার আজম খান এবং নগরের খুলশি এলাকার মাহমুদুল হাসান। পরে বাদী নিজেই এই মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৯ মে অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিভাগীয় বিশেষ জজ, চট্টগ্রামের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১জন। গত ২২ জুন এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত ইফতেখারুল কবীর নগরের পূর্ব মাদার বাড়ি দারোগার হাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আজম খান চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডি ইউনিয়নের ফতেয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, আজম চৌধুরী পলাতক আছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে বাকি তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুল কবীরকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় জামিনে ছিলেন সামিউল সাহেদ চৌধুরী। কারাবন্দী ছিলেন ইখতখারুল কবীর ও মাহমুদুল হাসান। আসামি আজম খান এখনও পলাতক আছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com