রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

খুলনায় কোরবানি পশুর হাটে উপচে পড়া ভিড়

খুলনা জেলার অধিকাংশ কোরবানি পশুর হাট গুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক খুবই সীমিত। জেলার বেশিরভাগ হাট গুলোতে গরু বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে মেপে। এদিকে অর্থনৈতিক মন্দা ও দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির কারণে মধ্যবিত্ত অনেকাংশ পরিবার বঞ্চিত থাকছে কোরবানি দেওয়া থেকে।

এদিকে সারাবছর অপেক্ষাকৃত খামার মালিক কোরবানির পশু বিক্রেতাদের অভিযোগ হাতেগোনা মাত্র দুদিন বাকি ঈদ উল আযহা কোরবানী ঈদ অথচ গবাদি পশুর হাটে জনসমাগম থাকলেও নেই ক্রেতা সমাগম। খুলনা নগরীর জোড়াগেট এর বিশাল কোরবানির পশুর হাটসহ আশেপাশের অঞ্চলের বেশ কিছু হাট সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। এক্ষেত্রে খামার মালিক গবাদি পশু বিক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানি যোগ্য গবাদি পশুর আমদানি অনেক বেশি থাকলেও ক্রেতাদের থেকেও দেখার মানুষের ভিড় বেশি। তারপরে আবার শোনা যাচ্ছে ভারত থেকে অবৈধ পথে ঢুকছে দেদারসে ভারতীয় গরু।

একে তো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষেরা কোরবানী দিতে এবার হিমশিম খাচ্ছে। তবে আমরা খামারিরা দেশীয় গরু যে পরিমাণে পরিচর্যা করে প্রস্তুত করেছিলাম তাতেই যথেষ্ট ছিল মোটামুটি ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারতো স্থানীয় খামার ব্যবসায়ীরা। যদিও বর্তমানে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম তবুও আমরা আশাবাদী এক দুই দিন আগ থেকে ঈদের দিন ভোর পর্যন্ত মোটামুটি ভালো বেচা বিক্রি হবে বলে আশা করা যায় এসব কথা নাগরিক ভাবনার প্রতিবেদক কে বলেছেন বেতাগা গরু হাটের গবাদি পশু বিক্রেতার মোখলেছ মিয়া।

তানার কাছে এবছর গরুর দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন গরু পরিচর্যা করতে তার পিছনে যে পরিমাণে সারা বছর আমাদের খরচ করতে হয় তা লাগামহীন।

কারণ গোখাদ্য সবকিছুই আগের থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। খৈল বিছলি কাঁচা ঘাস ছোলার ভূষি সহ আনুষঙ্গিক সকল পশু পালনের উপকরণ এর দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়েছে সাথে তো আমাদের দিনরাত হাড় ভাঙা খাটনি রয়েছে। এদিকে ডুমুরিয়া কাঁঠালতলা চুকনগর সাহাপুর বাগেরহাট সহ বিভিন্ন হাটের ক্রেতাদের ভাষ্য এবার অন্যান্য বছরে তুলনায় পশুর দাম ও অনেকটা বেশি সরকারিভাবে হাসিল ও বেশি তবে অধিকাংশ হাটে এবার লক্ষ্য করা গেছে স্কেলে মেপে বিক্রি করা হচ্ছে কেজি দরে যা একটু মধ্যম শ্রেণীর গরুগুলি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা এবং ভাল মানের গরুগুলো ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি যা মেপে হিসাব করে কিনতে গেলে লাখের নিচে কোন ছোটখাটো মাপের গরুও মিলছে না। আর তার থেকে একটু ভালো জাতের তরতাজা তেজী গরু কিনতে গেলে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাজেট না করলে তার কাছেও ভিরা যাচ্ছেনা।

তবে এবছর প্রতিটি হাটে পশুর আমদানি দেখে সন্তুষ্ট ক্রেতাগণ ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com