রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১১ অপরাহ্ন

বিরল জাতের তিমির পেটে ৪৪ কোটি টাকার স্বর্ণ

সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে বিরল জাতের একটি তিমি মাছের মরদেহ। যে তিমির প্রজাতি পৃথিবীতে খুবই বিরল। বিশ্বে যত প্রকারের তিমি মাছ আছে তার মধ্যে এই জাতের তিমি আছে মাত্র ১ %। তাই বিরল এই তিমি মাছটি সৈকতে মরে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন পরিবেশবাদীরা। তারা তিমির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যান সোনার খনি।

জানা যায়, সৈকতে ভেসে এসেছিল এক বিরল জাতের তিমির মরদেহ। সেই মরদেহ উদ্ধারের পর তিমির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে চমকে গেলেন উদ্ধারকারীরা। ময়নাতদন্তের পর দেখা গেল, তিমির পেটে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। আর ওই বহুমূল্যবান সম্পদই তিমিটির মৃত্যুর কারণ।

ক্যানারি দ্বীপের লা পালমায় নগালেস সৈকতে পড়েছিল তিমিটির মরদেহ। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এটি বিরল প্রজাতির স্পার্ম হোয়েল। পৃথিবীতে যত তিমি রয়েছে, স্পার্ম হোয়েলের সংখ্যা তার মাত্র এক ভাগ।

নগলেস সৈকতের তিমিটিকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে হজমজনিত সমস্যার কিছু প্রমাণ পান চিকিৎসকেরা। আরো বিশদ পরীক্ষা করার জন্য এরপর তিমিটির পচন তন্ত্রটির পরীক্ষা করেন তারা। দেখা যায়, সেখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি পাথর। যার দাম অন্তত ৪৪ কোটি টাকা!

কী এমন রয়েছে ওই পাথরে? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই পাথর আদতে স্পার্ম তিমির বমি। যা এতটাই বিরল এবং দামি যে তাকে সমুদ্রে ভাসমান সোনা বলা হয়। সুগন্ধি তৈরি করা থেকে শুরু আরো নানা শিল্পে ব্যবহার হয় এই তিমির বমি, যার চাহিদা আকাশছোঁয়া। নাম অ্যাম্বারগিস।

এই ধরনের স্পার্ম হোয়েল সাধারণত যে ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে উদরপূর্তি করে, তার অনেকটাই হজম করতে পারে না। এই হজম না হওয়া অংশ তিমির পেটে জমতে থাকে। কালেক্রমে তা পাথরের মত কঠিন হয়। আকারেও বাড়তে থাকে এই অ্যাম্বারগিস। কখনো আয়তনে খুব বেশি বেড়ে গেলে তিমি মাছের পাচনতন্ত্রের প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসে সেটি। মৃত্যু হয় তিমি মাছটির। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com