রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৩ অপরাহ্ন
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে মধ্যে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানোর মত জগণ্য ঘটনা ঘটে। মুসলিমরা বিশ্বজুড়ে এর প্রতিবাদ করেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীও এরকম ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেন। বিভিন্ন সংস্থ্যার পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ করা হয়। কিন্তু এমন বর্বর কাণ্ড বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি সুইডেন ও জার্মিনিতে এমন কাণ্ড ঘড়ে। মুসলিমদের কাছে জীবনের চেয়েও দামি এই পবিত্র গ্রন্থের মর্যাদা রক্ষা করা। তবে তারা কখনো অন্য ধর্মের পবিত্র গ্রন্থে আগুন দেয়নি। দিতে পারে না। কারণ মুসলমান মানেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থকে সম্মান করা। এবার এমননি ঘটনার স্বাক্ষী হলো বিশ্ববাস।
জানা যায়, সিরিয়ান এক সুইডিশ অ্যাক্টিভিস্ট সুইডেনের আদালত থেকে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি এসব গ্রন্থ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
আহমেত আল্লুস নামে ওই ব্যক্তি শনিবার সাংবাদিকদের দূতাবাসের সামনে বলেন, পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো উচিৎ নয়- এ বার্তা দিতে তিনি তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন।
তিনি বলেছেন, আমি একজন মুসলিম এবং আমি পবিত্র ও ধর্মীয় বই পোড়াতে পারি না। এ সময় আহমেত ব্যাখ্যা করেন যে তার উদ্দেশ্য ছিল নর্ডিক দেশে যারা কোরআনের মতো পবিত্র বই পুড়িয়ে দেয় তাদের নিন্দা করা।
পুলিশি নিরাপত্তায় সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রসঙ্গে আহমেত বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জাতিগোষ্ঠীকে অপমান করার মধ্যে পার্থক্য আছে। কোরআন ও ধর্মীয় বই পোড়ানোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিৎ। তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেওয়ার মাধ্যমে আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি। এসব গ্রন্থ পোড়ানো কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তিনি বলেন, আদালত এরকম অনুমিত কেনো দিবে। আমি আদালতকে বলতে চায়, মুসলিম হয়ে আমি পবিত্র গ্রন্থ পোড়াতে পারি না ।
আহমেত বলেন, আমি দেখাতে চাই যে আমাদের একে অপরকে সম্মান করতে হবে, আমরা একই সমাজে বাস করি। আমি যদি তোরাহ ও বাইবেল পুড়িয়ে এবং কোরআন তাহলে যুদ্ধ হবে এখানে। আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি এসব করা ঠিক না।
গত ২৮ জুন ঈদের দিনে সুইডেনের স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো সুইডেনের ওপর ব্যাপকভাবে ফুঁসে উঠে। এর মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
শেষমেশ বাধ্য হয়ে স্বয়ং সুইডেন সরকার কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে। দেশটি একে ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে উল্লেখ করে।