বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
ইসরায়েলে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক। গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, হামাস শুধু ইসরায়েলি নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাদের লক্ষ্য করে যুদ্ধ পরিচালনা করছে।
সন্ত্রাসবিরোধী নীতির অধীনে যুক্তরাজ্য মারজুকের সম্পদ জব্দ করেছিল এর আগে। গত ৭ অক্টোবরের অতর্কিত হামলার পর তিনিই বিবিসির সঙ্গে কথা বলা সবচেয়ে সিনিয়র হামাস সদস্য।
মারজুক বলেন, ইসরায়েলি কোনো নারী, শিশু বা বেসামরিক বাসিন্দাদের ওপর হামাস আক্রমণ চালায়নি।
সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েলি পক্ষ একাধিক ভিডিও সরবরাহ করে দাবি করে, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবরে হামাসের আক্রমণের পর এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সেনাবহিনী। তেল আবিবের দাবি নিহতের বেশির ভাগই বেসামরিক নিরস্ত্র বাসিন্দা।
বেসামরিক নাগরকিদের হামলার বিষয়ে বিবিসিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মারজুক। তিনি দাবি করেন, হামাসের কাসাম ব্রিগেডের সামরিক শাখার নেতা মোহাম্মদ এল-দেইফ বেসামরিক লোকদের রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এল-দেইফ তার যোদ্ধাদের স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে ‘একজন নারীকে হত্যা করবেন না, একটি শিশুকে হত্যা করবেন না ও একজন বৃদ্ধকেও হত্যা করবেন না’।
শুধু সেনা বা নিয়োগপ্রাপ্তরাই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে জানান মারজুক।
হামাসের হাতে জিম্মিদের বিষয়ে বলেন, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকলে জিম্মিদের মুক্তি দেয়া সম্ভব নয়। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হলেই জিম্মিদের মুক্তি মিলবে।
এদিকে গতকাল সোমবার (৬ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১০ হাজার ২২ জনকে হত্যা করেছে। নিহতের মধ্যে চার হাজার ১০৪ শিশু ও দুই হাজার ৬৪১ জন নারী। এছাড়া আহত হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
আল-কুদরা আরো বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় এক হাজার ৩০০ শিশুসহ প্রায় দুই হাজার ৩৫০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজা উপত্যকায় ২৩ লাখ মানুষ সব ধরনের মৌলিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তীব্র খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছেন তারা। ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িঘর। এছাড়া ইসরায়েলি স্থল হামলার পর থেকে কয়েক দফা ইন্টারনেটসহ সব ধরনের যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।