সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে ‘অসাধারণ প্রতিভাবান’ একটি দল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী প্রেসসচিব বেদান্ত প্যাটেল। রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ‘অভিজ্ঞ’ উল্লেখ করে বলেন, তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, আরো বিস্তৃত অঞ্চলে কাজ করতে পারদর্শী।
গতকাল সোমবার (৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। ছিল ঢাকার দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত প্রসঙ্গ।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সি-থ্রি ভিসানীতির উল্লেখ করে এক প্রশ্নে বলা হয়, আপনি কি বিএনপি-কে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলবেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি ও সহিংসতার যেকোনো ঘটনাকে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখি। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আমরা সম্পৃক্ত আছি ও থাকব।
আরেক প্রশ্নে উঠে আসে বিএনপি কার্যালয়ে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে এক ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গটি। এছাড়া ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে এক নেতা ‘বিএনপির ত্রাতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ ধরনের দাবি প্রসঙ্গে বেদান্ত পাটেল বলেন, আমি সেই প্রতিবেদন দেখিনি। আপনি কী সম্পর্কে কথা বলছেন সে বিষয়ে আমার সত্যিই কোনো ধারণা নেই। তাই আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, ঢাকায় আমাদের দূতাবাসে অসাধারণ প্রতিভাবান একটি দল রয়েছে। যার নেতৃত্বে দিচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, আরো বিস্তৃত অঞ্চলে কাজ করতে পারদর্শী। এবং আমি যেমন বলেছি, আমরা জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
আরেক প্রশ্নে বলা হয়, ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে বিএনপি। বিএনপি ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে সরকার। আটক করা হয়েছে বিএনপি মহাসচিবসহ ৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। ২৮ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে তারা কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে তাদের যে ইচ্ছা এর প্রতিফলন ঘটাবেন?
এখানে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো অঙ্গীকারই পুনর্ব্যক্ত করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী প্রেসসচিব বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং এ প্রশ্নের উত্তরে আগেও বহুবার বলতে শুনেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অন্যগুলোর চেয়ে বেশি পছন্দ করি না।
‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ রাখছি’ উল্লেখ করে এও বলেন, আমরা সরকার, বিরোধী দলের নেতা, সুশীল সমাজসহ সব পক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য আলোচনা করছি; যাতে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হতে পারে।