সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাড়াই মওসুম উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চিনিতে মোটা অংকের লোকসান কমিয়ে আনতে পারবে ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠানটি এমনটিই আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
৬৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবারের মাড়াই মৌসুমে। মোট ৫৫ মাড়াই দিবসের লক্ষ্যমাত্রায় চিনি আহরনের গড় হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এ উপলক্ষে কেরু চিনিকলে আনুষ্ঠানিকতার সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।
এদিন বিকাল চারটার সময় মিলের কেন কেরিয়ার প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে কেন কেরিয়ারে আখের আটি নিক্ষেপের মাধ্যমে চলতি ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি।
এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কেরু চিনিকলের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ফেডারেশনের নের্তৃবৃন্দ সহ আখচাষী ও সূধীজন উপস্থিত থাকবেন।
চিনিকলের শ্রমিকরা জানান, এ বছর মিলস হাউজের ফিটিংয়ের কাজ ভালো হয়েছে। মিল ভালই চলবে। ফলে বেশি চিনি উৎপাদন সম্ভব হবে।
কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মাড়াই মওসুম শুরু করতে চিনিকলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে চিনিকল এলাকায় আখের চাষ কম হয়েছে। এ জন্য এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে এ মওসুমে লোকসান কমিয়ে আনতে সবাই মিলে কাজ করছে।’
এ মওসুমে ৫৩ মাড়াই দিবসে প্রতিদিন গড়ে ১১’শ ৫০ টন আখ মাড়াই করবে চিনিকলটি। ৬১ হাজার ৫০০ হাজার টন আখ মাড়াই করে শতকরা ৬ দশমিক ২ ভাগ চিনি আহরণের মাধ্যমে ৩ হাজার ৮’শ ১০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর ২০২২-২৩ মাড়াই মওসুমে ৪২ মাড়াই দিবসে প্রায় ২৩ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছিল চিনিকলটি। সে সময় আখের অভাবে র্নিধারিত দিনের আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিনিকল। এ বছর কেরু চিনিকল জোনে দন্ডায়মান আখ রয়েছে ৩ হাজার ৮০২ একর জমিতে। এর মধ্যে চিনিকলের নিজস্ব জমিতে আখ রয়েছে ১ হাজার ১৫৩ একর জমিতে।
চাষীদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ মওসুমে আখের মুল্য বাড়িয়েছে সরকার। এবার প্রতিমন (৪০ কেজি) আখের মুল্য ২২০ টাকা টাকা করা হয়েছে। তবে চিনির মুল্য বাড়লেও আশানুরূপ হারে আখের মূল্য বাড়েনি। আখের মূল্য আরো বাড়ানোর দাবি চাষীদের। বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোঃ ওমর আলী বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে আখচাষীদের এবার দাবী, চাষীদের মাঝে আখ বিক্রির পূজির পরিমান বাড়াতে। আখের মুল্য সরাসরি নগদে পরিশোধ করতে। শিওর ক্যাশ বা বিকাশে চাষীরা টাকা নেবে না। ঋনের সার, বীজ, কীটনাশক সঠিক সময়ে দিতে হবে এবং চাষীদের কোটায় পাওনা চিনি উত্তোলনের সময় বাড়াতে হবে।’