বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী এবং ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষ। এতে করে দীর্ঘ হচ্ছে আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনের সড়কের একপাশে ছাত্রলীগ এবং অপর পাশে কোটা আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন। উভয় পক্ষই থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অংশ নিচ্ছেন। একপক্ষ অপরপক্ষের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছেন। কিছুক্ষণ পরপর ঘটছে ককটেল বিস্ফোরণ। তবে কোন পক্ষ থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের জন্য আন্দোলনকারীদের দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা দেশবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেখতে পাচ্ছি। আজকেও তারা পূর্বপরিকল্পিত এবং উস্কানিমূলকভাবে কর্মসূচি দিয়েছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল তাদের উপর নারকীয়ভাবে হামলা চালিয়েছে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে রাজাকারের প্রেতাত্মাদের ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনকে আহ্বান জানাবো যারা এই ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে বিনষ্ট করতে চায় তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিক। আর ছাত্রলীগ তাদেরকে রাজপথে শায়েস্তা করার জন্য প্রস্তুত আছে।
উল্লেখ্য, গতকাল চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’