বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
আজ একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াতের ৮০’তম জন্মদিন। আজ তিনি তার জীবন চলার পথে ৮০ বছর পূর্ণ করেছেন বলে জানালেন। তবে দিনটিকে ঘিরে যে উৎসবের কথা ছিলো সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে এবং দেশে বন্যা দুর্গত এলাকাবাসীর কথা ভেবে সরে এসেছেন।
আবুল হায়াত জানান, রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসাতেই স্ত্রী’র সঙ্গে ঘরোয়াভাবে দিনটি উদযাপন করবেন। তবে একেবারেই অনানুষ্ঠানিকভাবে আজ বিকেলে ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র উদ্যোগে আবুল হায়াতের ৮০’তম জন্মদিন উদযাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। আবুল হায়াত জানান, বিকেল পাঁচটায় তিনি ‘অভিনয় শিল্পী ষংঘ’র অফিসে যাবেন তিনি। মূলত, সহশিল্পীদের বিশেষ অনুরোধেই তিনি ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র এই অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন।
এদিকে চলতি মাসের একেবারেই শেষপ্রান্তে প্রকাশ করার কথা রয়েছে আবুল হায়াতের আত্নজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘রবি পথ’। বিগত দশ বছর যাবত তিনি তার এই আত্নজীবনী মূলক গ্রন্থটি লিখে যাচ্ছেন বলে জানালেন। জন্মদিন, অভিনয়, নির্মাণ এবং আত্নজীবনী মূলক গ্রন্থ প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন,‘ সত্যি বলতে কী বিগত বৈষশ্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া শিক্ষার্থী এবং পরবর্তীতে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার ৮০তম জন্মদিন নিয়ে যে পরিকল্পনা ছিলো তা বাতিল করেছি। পরবর্তীতে তা করা যেতে পারে, কিন্তু এখন নয়। আর বইটি মূলত আমার স্ত্রী, আমার দুই সন্তান বিপাশা নাতাশা এবং তৌকীর, শাহেদের প্রবল আগ্রহে এবং চাপেই দীর্ঘ দশ বছর সময় লাগলেও অবশেষে শেষ করতে পেরেছি। শেষ পর্যন্ত যে বইটি প্রকাশ করতে পারছি, এটাই আসলে অনেক কিছু। ভালো গল্প পেলে কিংবা সময়োপযোগী গল্প রচনা করতে পারলে এখনো নাটক নির্মাণের ইচ্ছে আছে। আর অভিনয়তো এখনো করে যাচ্ছি। জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু আম জনতার যে ভালোবাসা, তাদের কাছ থেকে যে সম্মান পেয়েছি তারসাথে আসলে কোনোকিছুরই তুলনা চলেনা। তাদের এই ভালোবাসার মাঝেই আমি বেঁচে থাকতে চাই। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চাই। সবাই আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’
আবুল হায়াত সর্বশেষ গেলো কোরবানীর ঈদে ‘কদম’ নামে একটি নাটক নির্মাণ করেন। বর্তমানে তিনি মুসাফির রনি পরিচালিত প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘জোনাকীর আলো’তে অভিনয় করছেন।