বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর সাড়ে ৩ মাস সময় বাকি। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি ও টেন্ডার প্রক্রিয়া। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, মে-জুনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রুফ রিডিং করা হয়। তবে এবার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চলতি মাসের শুরুতে আসে বই সংশোধনের ঘোষণা। আগামী শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে কী কী সংশোধন ও পরিমার্জন করা যায়, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এ বছর স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি বিনামূল্যের বই ছাপানোর কথা। মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের মতো টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে বছরের শুরুতে কিছু বই পৌঁছানো সম্ভব হলেও সব বই ছাপা শেষ হতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে।
বিগত সরকারের আমলে এনসিটিবির কিছু অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে নিম্নমানের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে বই ছাপানোর কাজ দেওয়া হতো। এতে বইয়ের মান ও ছাপা নিয়ে বেশ বিতর্ক ওঠে। এবারও এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান বিতর্কিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছেন। এর মধ্যে অগ্রণী প্রেস অন্যতম। তাদের ছাপানো বই এত নিম্নমানের যে শিক্ষাবর্ষের ৬ মাসও টেকেনি। পৃষ্ঠাগুলোও অনেক পাতলা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উলটাতে গিয়ে প্রায় সব বই ছিঁড়ে গেছে। এবারও তারা প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আরও কয়েকটি বিতর্কিত প্রেসের কাজ পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।