বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন
একসময় জাতীয় ক্রিকেট লিগকে বলা হতো ‘পিকনিক লিগ। ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি, প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব, নিচু মান, কখনও কখনও ক্রিকেটারদের নিবেদনে ঘাটতি। সব মিলিয়েই এই পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিল সবচেয়ে বড় প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট। সেই চিত্র বদলে গেছে অনেক দিন আগেই। তার পরও যারা অতীতে পড়ে আছেন, তাদের কথায় কষ্ট পান জাকের আলি। দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বদলে যাওয়া সময়ের স্বাক্ষী যে তিনি নিজেই। ভারত সফরের বাংলাদেশ টেস্ট দলে একমাত্র নতুন মুখ এই জাকের। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট রাঙিয়েই এই সুযোগ তিনি পেয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ খেলা জাকের ওই বছরের শেষ দিকে যাত্রা শুরু করেন স্বীকৃত ক্রিকেটে। জাতীয় লিগে নিজ বিভাগ সিলেটের হয়ে ২০১৬–১৭ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাড়ে ৭ বছরের বেশি সময় পার করে দেওয়ার পর এবার টেস্টে যাত্রা শুরুর খুব কাছে এই উইকেটরক্ষক–ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ অবশ্য গত বছর পেয়ে গেছেন জাকের। এরই মধ্যে তিনি খেলে ফেলেছেন ১৭টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ। সে দফায় জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণের পর এবার সাদা পোশাকে বড় মঞ্চে খেলার স্বপ্নে বুদ তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে ভারত সফরের আগে অনুশীলন ক্যাম্প। সেই প্রস্তুতি পর্বে ঘাম ঝরিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে জাকের শোনালেন টেস্ট ক্রিকেটের সুবাস পাওয়ার রোমাঞ্চের কথা। তিনি বলেন খুব ভালো অনুভূতি। সবারই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার। সেটার জন্য স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। ২০১৭ সাল (২০১৬ সালের ডিসেম্বর) থেকে আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছি। যে সংস্করণই হোক, ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি ভালো করার চেষ্টা করি। ওই প্রক্রিয়াতেই এগোই। টি–টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে জাকের লাল বলের রেকর্ড বেশি উজ্জ্বল। বিশেষ করে গত ৩–৪ বছরে নিজেকে ছাড়িয়ে নতুন মাত্রা যোগ করছেন তিনি। ২০২২ সালের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করে টেস্ট দলে ঢোকার দাবি জোরাল করেছিলেন জাকের।