বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
পারলো না বাংলাদেশ। চেন্নাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার মানতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৮০ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত।
ভারতের এই জয়ের পেছনে মূল কারিগর অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের কীর্তিতেই ম্লান হয়ে গেছে শান্তদের পুরো দলের পারফর্ম্যান্স। ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ১১৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই তারকা। তৃতীয় দিনের শেষেই বাংলাদেশের হার একপ্রকার লেখা হয়ে গিয়েছিল। তবে উইকেটে সাকিবের সঙ্গে অধিনায়ক শান্ত থাকার আশার আলো দেখেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন সকালেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব-শান্ত। তবে বিপদটা বাঁধান সাকিব। জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব। তার আউটের মধ্যে দিয়ে ব্যাটিং ধ্বসের শুরু। এরপর একে একে ফিরে যান লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, শান্ত, তাসকিন আহমেদরা। তাতেই মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে পরাজয়কে বরণ করে নেয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন শান্ত। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। জাদেজা নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রীত বুমরাহ।
উইকেটের মিছিল শুরু হলে যেন থামতেই চায় না, এটাই বাংলাদেশের খেলার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরেকবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটা প্রমাণ দিলেন লিটন দাস। এক ওভার আগে সাকিব আল হাসানের বিদায়ে তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। তিনিও একই পথ ধরে হতাশ করলেন। জাদেজার বলটা একটু বেশি টার্ন নিয়েছিল। ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন হারান লিটন। বল ব্যাটের কোণা চুমু খেয়ে জমা হয় ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়ানো রোহিতের হাতে। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করে উল্লাসে মেতে ওঠেন ভারতীয় দলপতি। ১ রান করেছেন লিটন। ক্রিজে নাজমুলের সঙ্গী মিরাজ। জাদেজার বলে ক্যাচ মিস করে সাকিবকে জীবন দিয়েছিলেন ঋষভ পন্ত। তবে সেটা কাজে লাগানো হলো না দলের সেরা তারকার। আরেক স্পিনার অশ্বিনের বলে শর্ট লেগে ওত পেতে থাকা জয়সওয়ালের হাতে বন্দি হন সাকিব।
১৭ রানে জীবন পাওয়া সাকিব আর মাত্র ৮ রান যোগ করতে পারেন। ৫৬ বলে খেলেছেন ২৫ রানের ইনিংস। ক্রিজে নাজমুলের সঙ্গী লিটন দাস। সাকিবকে জীবন দিলেন ঋষভ পন্ত। বিরাট সুযোগ বলা চলে। জাদেজার বলে ডাউন ড্য উইকেটে চলে এসেছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। কিন্তু বল তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল পন্তের গ্লাভসে। কিন্তু বল গ্লাভসে জমাতে পারলেন না ভারতীয় কিপার। ততোক্ষণে সাকিবও চলে যান দাগের ভেতরে। সাকিব তখন ১৭ রানে অপরাজিত। জীবন পেয়ে পরের বলেই জাদেজাকে চার হাঁকান এই বাঁহাতি। দেখা যাক, পন্তের হাতে পাওয়া এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতদূর যেতে পারেন সাকিব।
তৃতীয় দিন বিকেলে আলোক স্বল্পতার কারণে শেষ ওভার অসমাপ্ত অবস্থায় দিন দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়ার। নিজের ওভারটি শেষ করতে পারেননি মোহাম্মদ সিরাজ। বাকি ছিল চার বল। আজ চতুর্থ দিন সকালে বাকি চার বল করে ওবার শেষ করেন তিনি।