বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সপ্তম প্রয়ান দিবস

জমকালো সেলুলয়েড সেনসেশন ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তার নাম শুনলে এখনো মুগ্ধতা প্রকাশ করতে দেখা যায় দর্শকদের। কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো রোববার (১৭ জানুয়ারি)। রূপ, লাবণ্য, আকর্ষণীয় শারীরিক গড়ন এবং অতুলনীয় অভিনয় দিয়ে কোটি হৃদয় আজও সমুজ্জ্বল সুচিত্রা সেন। বাংলা সিনেমাকে তিনি নিয়ে গেছেন এক অন্য উচ্চতায়।

তিনি ছিলেন রহস্যময়ী। তবে সব রহস্যের ইতি টেনে কোটি ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে দেহ ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি।

সুচিত্রা সেনের প্রকৃত নাম রমা দাশগুপ্ত। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ মহকুমার ভাঙাবাড়ি গ্রামে নানাবাড়িতে তার জন্ম। পাবনা শহরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান তিনি।

দেশ ভাগের ক’মাস আগে বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে মোট ৬৩টি ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে উপমহাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমার মারা গেলে অভিনয় বন্ধ করে দেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

১৯৫৪ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ও ‘অগ্নিপরীক্ষা’ সিনেমা সুচিত্রাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।

রূপালি পর্দায় সুচিত্রা সেনের নায়ক হিসেবে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। উত্তম-সুচিত্রা জুটির ৩০টি বাংলা সিনেমা সাফল্য পায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘সবার উপরে’, ‘পাপমোচন’, ‘শিল্পী’, ‘সাগরিকা’, ‘পথে হল দেরি’, ‘হারানো সুর’, ‘গৃহদাহ’, ‘প্রিয় বান্ধবী’ ইত্যাদি।

অভিনয়ে আসার আগেই সংসার জীবন শুরু হয় সুচিত্রার। ১৯৪৮ সালে কলকাতার শিল্পপতি আদিনাথ সেন তনয় দিবানাথ সেনের সঙ্গে তিনি ঘর বাঁধেন। তার একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেনও অভিনেত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com