শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
সাম্প্রতিক সময়ে শবনম বুবলীর ডায়মন্ডের নাকফুল বিষয়ক পোস্ট নিয়ে অপু বিশ^াসের ঠাট্টা, এবং পরে দুই নায়িকার ভার্চুয়াল যুদ্ধের কথা এখন সবার জানা। কিন্তু এই নায়িকা যাকে কেন্দ্র করে লড়ছিলেন সেই নায়ক শাকিব খান এবার দুজনকেই খাতায় রাখলেন না। শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্তান দুটির জন্য অপু বা বুবলীর সঙ্গে কথা বা দেখা হতেই পারে। এর বাইরে তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। দুজনই আমার অতীত, দুজনের সঙ্গেই আর কখনো মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে অপু চুপ থাকলেও তোড়জোড় শুরু করেছেন নায়িকা বুবলী। তিনি দেশ রূপান্তরকে গতকাল বলেন, ‘প্রায় সাত বছর ধরে ওর সঙ্গে সম্পর্ক। এই সাত বছরে কখনো তার সম্মানহানি হয় এমন কোনো কথা কখনো কোথাও বলিনি। তার সম্মান যেন ঠিক থাকে সর্বদা সেদিকে খেয়াল করে চলেছি। তার অনুমতি নিয়েই অন্য নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু তাতে কী হলো? সে তো একের পর এক মন্তব্য করে আমার সম্মানহানি করছে। আমার ইমেজ নষ্ট করছে।’ তাই শাকিব খান ইস্যুতে আর চুপ থাকতে চান না এই নায়িকা। নিজের সম্মানের কথা ভেবে, বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত কথা বলতে চান বলেই জানালেন। যদিও এই সংবাদ সম্মেলন কবে নাগাদ করতে পারেন তার নির্ধারিত তারিখ বলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, যা হচ্ছে তার তো একটা বিহিত দরকার। এভাবে আর কত? বুবলী বলেন, ‘দুই দিন পর পর আমাকে নিয়ে এভাবে মন্তব্য করা তো মেনে নেওয়া যায় না। আমি তো সব কিছু ঠিক রাখতে কম চেষ্টা করছি না। যখন তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে তখন এক রকম। আবার একটু দূরে এলেই আরেক রকম। কিন্তু আমি তো তার সম্মানহানি হয় এমন কখনো কিছু বলিনি, করিওনি। তাহলে আমাকে নিয়ে কেন একের পর এক এভাবে মন্তব্য! তাই ভাবছি এখন আমার উচিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা। না হলে সবাই আমাকে ভুল বুঝবে।’
গত ২০ নভেম্বর জন্মদিন ছিল ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী বুবলীর। ওই দিন সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, শেহজাদ খান বীরের বাবার কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি। এমন খবরের পরই শাকিব খান একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘কোনো ধরনের ডায়মন্ড নাকফুল আমি তাকে উপহার দিইনি। সত্যি কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। উপহার দেওয়া কিংবা উইশ করাÑ কোনোটাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। সন্তানের প্রয়োজনে সে আমাকে বা আমি তাকে লিখলেও তা শুধু শেহজাদকে কেন্দ্র করে যতটুকু দরকার, ততটুকুই হয়, এর বাইরে আর কোনো কিছুর প্রশ্নই আসে না।’
নিজের বর্তমান স্ত্রী ও সন্তানের মাকে এভাবে হেয় করে মন্তব্য দেওয়াটা নিতে পারেননি বুবলী। নিতে পারেননি খোদ শাকিব ভক্তরাও। অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, নিজের ঘরের এ বিষয়গুলো শাকিব খানের উচিত ঘরের মধ্যেই সমাধান করা। স্ত্রীকে নাকফুল দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি কেন গণমাধ্যমের বরাতে জানাতে হবে?