বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন

জার্মানি-ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, নগরকন্ঠ.কম : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘পরিপূর্ণ এবং বিস্তৃত’ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এলিসি প্যালেসে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর এ ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের ভ্লাদিমির জেলেনস্কির মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।

দু’দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ তিনটি ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ২০১৯ সালেই সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে ওই অঞ্চল থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন সৈন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিবিসির।

সাড়ে পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ হাজার প্রাণহানি ঘটেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বৈঠকে সামান্য কিছু অর্জন হয়েছে। আমরা আরও সমস্যার সমাধান দেখতে চাই।’

তবে অস্ত্রবিরতিকে সংঘাত নিরসনে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অবিলম্বে ইউক্রেনকে তাদের সংবিধান সংশোধন করে বিদ্রোহী অধ্যুষিত ডোনবাস অঞ্চলকে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে। জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ইউক্রেন তার ভ‚খণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা করবে না।’

সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পরপরই দেশ দুটির মধ্যে বন্দিবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে বলে ওই বৈঠক থেকে জানানো হয়েছে। লিখিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে সব ‘যুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট বন্দিবিনিময়’ করবে দুই দেশ।

এছাড়া ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে ইউক্রেনের আরও তিনটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করেছে দুই পক্ষ। তবে কোন তিনটি অঞ্চল, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি চুক্তিতে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার মাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে দু’দেশের।

নগরকন্ঠ.কম/এআর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com