শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন

পশুখাদ্য উৎপাদন শিল্প থেকে কম মুনাফা অর্জনের পরামর্শ শিল্পমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকন্ঠ.কম : কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) বিবেচনায় পশুখাদ্য উৎপাদন শিল্পের বিনিয়োগ থেকে কম মুনাফা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, ভোক্তা সাধারণের জন্য মানসম্মত ও নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে এখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশে আমদানি বিকল্প এগ্রোফিড উৎপাদনে বিনিয়োগ করলে উদ্যোক্তাদের সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।

শিল্পমন্ত্রী রবিবার ‘মানসম্মত পশুখাদ্যের জন্য গুণগতমানের উপাদান’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পশুখাদ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের এ পরামর্শ দেন। রাজধানীর একটি হোটেলে মেঘনা সিড ক্রাশিং মিল লিমিটেড এ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতীয় প্রখ্যাত পশু বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড. রাহুল কুলকার্ণি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল জব্বার সিকদার, সাভার ডেইরি ফার্মের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেব আলী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাস, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তাহমিনা মোস্তফা ও মহাব্যবস্থাপক ইমদাদুল হক আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে র‌্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভালো পুষ্টিমানের খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এর ফলে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তৈরি পোশাকের পর শতভাগ দেশিয় কাঁচামালনির্ভর চামড়া শিল্প বিশাল সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এখাতে রপ্তানি বাড়াতে দেশেই বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারকে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে দেশের সম্ভাবনাময় শিল্পখাতগুলোতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেন।

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দুধ, মাংস, ডিমসহ আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চাহিদার অতিরিক্ত মাছ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে এবং মাংস উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে। গত ঈদ-উল-আজহায় ১ কোটি ৮ লাখ পশুর চাহিদা থাকলেও ১ কোটি ১৮ লাখ স্থানীয় পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। আগামী দুই বছরের মধ্যে এদেশে গাভী পরিচর্যায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাসস

নগরকন্ঠ.কম/এআর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com