শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণায় মাহবুবা রহমান আঁখি ও নবজাতক ছেলের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. সংযুক্তা সাহা। তিনি বলেছেন, ‘আঁখি আমার রোগী ছিলেন না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পরীবাগের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ ঘটনায় হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
তিনি বলেন, ‘নিয়মিত রোগী হতে হলে একজন গর্ভবতীর গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রতি মাসে একবার এবং শেষের দিকে দুই সপ্তাহে একবার দেখাতে হয়। আঁখি আমার নিয়মিত রোগী ছিলেন না। তিনি কুমিল্লার একটি স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছেন। এ বছরের মার্চে তিনি দুই বার সেন্ট্রালে এসে আমাকে দেখিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সব মিথ্যা। আঁখি যখন হাসপাতালে ভর্তি হন তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার টিকিট ও বোর্ডিং পাস আমার কাছে আছে। আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটর করিনি।’
সেন্ট্রাল হসপিটাল তার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে উল্লেখ করে সংযুক্তা বলেন, ‘তারা এমন অনিয়ম করবে, আমি ভাবতেও পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য একটি মহল সব রকম পন্থা অবলম্বন করছে। এমনকি আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সদা ব্যস্ত আছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিত।’
ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, ‘আমাদের সবার জন্যই এই অবহেলাজনিত মৃত্যু কাম্য নয়। আমি আঁখি এবং তার সন্তানের জন্য শোক প্রকাশ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। নবজাতকের পিতা মো. ইয়াকুব আলী এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন প্রসবব্যথা উঠলে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে আঁখিকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেই সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছেন। একপর্যায়ে আঁখি সেন্সলেস হয়ে যান। এমন অবস্থায় ডেলিভারি করলে হার্টবিট বন্ধ হয়ে আইসিউতে মারা যায় নবজাতকটি। ঘটনার পর আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ল্যাবএইডের চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের কিডনি, লিভার, হার্ট এবং অন্য কোনো অংশ কাজ করছিল না। এর মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকও করেন আঁখি। তার সঙ্গে রক্তক্ষরণও বন্ধ হচ্ছিল না।
গত রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর পর মা ইডেন কলেজছাত্রী মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা যান।