শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
রাশিয়া যে দিন ইউক্রেনে হামলা করে সেদিন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছিলেন মস্কোয়।
এই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব ইমরান খানের কড়া সমালোচনা করে। এরপর পাকিস্তানের রাজনীতির চিত্র এক্কেবারে বদলে যেতে থাকে। তাকে হারাতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ। পদ হারিয়ে ইমরান দিশেহারা হয়ে পড়েন। হুমকি দেন আন্দোলনের। কিন্তু সেই আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি আজ বড্ড একা হয়ে পড়েছেন। পাকিস্তানের মিডিয়ায়ও তিনি প্রায় নিষিদ্ধ বলা চলে।
জানা যায়, একের পর সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগের পর অনেকটাই একা দল সামলাচ্ছেন তেহরিক ই ইনসাফের চেয়ারপার্সন ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একদিকে মামলা আর আদালত অন্যদিকে অনেকটাই নেতাহীন দল পিটিআই, দুইই সামলাতে হচ্ছে ইমরানকে। নেতাদের পদত্যাগের কারণ হিসেবে সামরিক বাহিনীর চাপের কথা উঠে আসলেও বিশ্লেষকরা বারবার বলছেন, দলীয় কোন্দলের বিষয়টি। খবর জিও নিউজের।
গত ৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারের পরপরই পুরো পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে পিটিআই। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে পিটিআই’র সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগের ঘটনায়। স্বেচ্ছায় দল ছাড়তে থাকেন একের পর এক সিনিয়র নেতারা। ফলে শুরুতে ইমরানের মুক্তি, সরকারের পতন আর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে যতোটা জোয়ার ছিলো, এখন যেন ঠিক ততোটাই ভাটা। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন ফাওয়াদ চৌধুরী, শিরিন মাজারি, আমির মাহমুদ, ফেয়জাল হাসানের মতো নেতারা যারা মুলত দলটির নীতি নির্ধারণ করতেন। এখন পর্যন্ত কেন্দ্র আর তৃণমূল মিলিয়ে প্রায় দেড়শ নেতা দল ছেড়েছেন। ফলে এখন অনেকটাই একা হাতে দল সামলাচ্ছেন ইমরান খান।