শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাতের ভোট দিনে করতে বললেই অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর মাথা উঁচু হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ দেশের সকল জনগণ কৃষক শ্রমিক ছাত্র পেশাজীবীরা রাজপথে নামছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। আপনি শেখ হাসিনা বলেছেন বিদেশিদের কথায় আপনি মাথা নত করবেন না। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণ রাস্তায় নামবে তখন আপনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের রুখে দেবেন এই জন্য মাথা উঁচু করে থাকবেন। যদি কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়, রাতের ভোট দিনে করতে বলা হয় তাহলে আপনি তাদের কাছে মাথা নত করবেন না। আপনি শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতা লুট করেছেন তাদের অধিকার লুট করেছেন। আর এই বিষয়ে কেউ কথা বললে আপনি তাদের কাছে মাথা নত করবেন না।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে ঢাকা বারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (ঢাকা বার) আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সত্য কথা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমাদের নেত্রী কথা দিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই হবে না। ওবায়দুল কাদের কি ভুলে গেছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা? সেই নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। ওই নির্বাচন আমরা দেখেছি ওই নির্বাচনকে বলা হয় মিডনাইট নির্বাচন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আমরা দেখেছি সেই নির্বাচনে তারা একচেটিয়া নির্বাচন করেছে। অনেক বড় বড় দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারপরে বললেন আমরা একটা মধ্যবতী নির্বাচন করব। তারপরে পাঁচ বছর চলে গেল। তারপরে ২০১৮ সালে মধ্যরাতে নির্বাচন করল।
তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তিনি জাতীয় বেইমান হলেন। এরশাদের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনে গেলেন। জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা দেশবাসী দেখেছে। অপরদিকে জিয়াউর রহমানের কথা ও কাজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা ও কাজ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এটাও দেশবাসী দেখেছি।যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তারা ন্যায়ের পক্ষে সত্যের পক্ষে, এ দেশের স্বাধীনতার পক্ষে সার্বভৌমত্বের পক্ষে।
প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে? আপনাদের মনে নেই ২০০৪ সালে শেখ হাসিনা আন্দোলন শুরু করেছিলেন কিসের জন্য? জাস্টিস কে এম হাসান উনি এক সময় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন কয়েক মাসের জন্য। তাই তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না এটা নিয়ে শেখ হাসিনা আন্দোলন শুরু করলেন। কিন্তু আপনি শেখ হাসিনা ৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহলে আপনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিভাবে? কয়েক মাসের জন্য যিনি বিএনপির একটি সম্পাদক পদে ছিলেন তার অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় তাহলে আপনি শেখ হাসিনা ভোট ডাকাতি করেছেন নিশিরাতে ভোট করেছেন তাহলে কিভাবে ওবায়দুল কাদের গ্যারান্টি দেয় আপনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? কোনো দিন এটি সম্ভব নয়।
রিজভী আরও বলেন, আজ সবাই একমত শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তার অধীনে দিনের ভোট রাতে হয়। সেই জন্যে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।একটি চূড়ান্ত আঘাত হানতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য।সেটির জন্য আইনজীবীদের বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে।
মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।