বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন
রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ছয়টার পর আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। এরপর নীলসাগর এক্সপ্রেস ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে রওনা হয় গন্তব্যে।
ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই কমলাপুর রেলস্টেশনে অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকিট ছাড়া কেউ যাতে ঢুকতে না পারেন, সেজন্য স্টেশনে ঢোকার প্রবেশ পথেই বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদাভাবে চেক করা হচ্ছে। যাদের টিকিট আছে, তাদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, টিকিট থাকলেও অনেক সময় ট্রেনের মধ্যে জায়গা পাওয়া যায় না। তাই টিকিট ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে ঢুকতে না দেওয়াই ভালো।
স্টেশনের সামনে দাঁড়ানো এক টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) বলেন, ‘ঈদযাত্রায় টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি রেলের নির্দেশনা পালনের। যার টিকিট তাকেই ভ্রমণ করতে হবে।’
গত ১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেওয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
একইভাবে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।
এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে।
এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেওয়া হয় অগ্রিম টিকিট। ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়।