বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে না: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলার জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। তাদের কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনবিরোধী অবস্থান থেকে নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি ও তাদের জোটে থাকা রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এ সকল নির্বাচনে ৫০ শতাংশের উপর ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি আজ জনসমর্থন শূন্য হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, জন বিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন বিরোধী অবস্থান থেকে নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি তাদের জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি। তথাকথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান শাসনতান্ত্রিক বৈধতা অর্জনের পাঁয়তারা চালায়। আর তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন। বিশেষত সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে আরও সুদৃঢ় করতে নির্বাচন কশিমন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করেছেন।

বিএনপির শাসনামলে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়নি দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছিল একটি নখ-দন্তহীন বাঘ। বিচার বিভাগ পরিচালিত হতো বিএনপির মতাদর্শ অনুসরণ করে। দলীয় ও বিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কলঙ্কিত করেছিল।

তিনি বলেন, বিএনপির সময় কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করেছে। বিএনপি ক্ষমতা দখল করে সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাশাপাশি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকার্যকর করেছিল।

তিনি বলেন, পুনরায় তারা ক্ষমতায় আসলে সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির কোনো আস্থা নেই। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com