শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতরাতে মার্কো জানসেনের অলরাউন্ড নৈপুন্যে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা ১২২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ব্যাট হাতে ২৩ বলে ৪৭ রান এবং ৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন জানসেন।
প্রথম দুই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া জিতলেও পরের তিন ম্যাচ জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশে^র পঞ্চম দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডেতে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে সিরিজ জয়ের নজির গড়লো প্রোটিয়ারা। এই তালিকায় বাংলাদেশেরও নাম আছে। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলো বাংলাদেশ।
জোহানেসবার্গে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। টপ অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলে ১০৩ রানে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেটে ১০৭ বলে ১০৯ রান তুলে দলকে লড়াইয়ে রাখেন আইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। ওয়ানডেতে ২৩তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৬৩ রান করেন মিলার। ৬৫ বল খেলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।
সেঞ্চুরি সম্ভাবনা জাগিয়ে ৯৩ রানে ফিরেন মার্করাম। ৮৭ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। মার্করাম-মিলারের ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় সংগ্রহ এনে দেন জানসেন ও আন্দিলে ফেলুকুওয়াও। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। লোয়ার অর্ডারে ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন জানসেন। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন ফেলুকুওয়াও। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার এডাম জাম্পা ৭০ রানে ৩টি ও পেসার সিন অ্যাবট ৫৪ রানে ২ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জানসেনের তোপে ভালো শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ৩৪ রানে ২ উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে ৯০ রান যোগ করেন ওপেনার হিসেবে নামা অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও মার্নাস লাবুশেন। মারমুখী ব্যাট করা মার্শকে শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন প্রথম দুই উইকেট নেয়া জানসেন। ৬টি করে চার-ছক্কায় ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৫৬ বলে ৭১ রান করেন মার্শ।
১২৪ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে মার্শ আউটের পর অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে। ১৪৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে অসিরা। শেষ পর্যন্ত জানসেন ও স্পিনার কেশব মহারাজের বোলিংয়ে ৩৪ দশমিক ১ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জানসেন ৫ ও মহারাজ ৪ উইকেট নেন। ওয়ানডেতে প্রথমবারের মত ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন জানসেন। ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরমেন্সের সুবাদে সেরা খেলোয়াড় হন জানসেন। সিরিজ সেরা হন মার্করাম।
শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অস্ট্রেলিয়া হেরে যাওয়ায় আবারও ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে স্থান দখল করেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয়স্থানে থাকা ভারতের সমান ১১৫ রেটিং পয়েন্ট থাকলেও ভগ্নাংশের হিসেবে শীর্ষে আছে পাকিস্তান।