বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে প্রথম সরকারের ছত্রছায়ায় গঠিত দল হচ্ছে বিএনপি। কারণ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করেছিলেন, তারপর সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছিলেন এবং সেই উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশজুড়ে আজ অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে, অনেক মানুষ এর বলি হয়েছে, আগুনে ঝলসে গেছে, গতকালও সারা দেশে ১০টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে এগুলো তখনই বন্ধ হবে যখন সারা দেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে। আমরা যারা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজ তাদের পক্ষ থেকে সেই আওয়াজটা আসা প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিক সমাজের কোনো বিবৃতি নাই, কোনো বক্তব্য নাই। এটি খুবই দুঃখজনক।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমি মনে করি, নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত যারা সময়ে সময়ে বিবৃতি দেয় আর এখন নিশ্চুপ, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আমি সাংবাদিকদেরও অনুরোধ জানাব এদেরকে চিনে রাখার জন্য।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য, ‘আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে’— এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না।
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, একটি দল নির্বাচনে না আসলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না এমন তো সংবিধানে লেখা নাই, পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নাই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হাঙ্গেরির নির্বাচনে একটি বড় দল অংশ নেয়নি, ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে এ রকম হয়েছে, কিন্তু সেই নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে। দেশেও কয়েক মাস আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিসহ তার মিত্ররা এমনকি তৃণমূল বিএনপি বা অন্যান্য যে সমস্ত দল আজকে অংশগ্রহণ করছে তারাও অংশ নেয়নি। এরপরও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল, সে কারণে সে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নাই। এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি আসনে প্রায় ৭ জন করে প্রার্থী আছে। গ্রামে নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং দেখতে পারবেন আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।