বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
নিজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট–পিজিআরের সদস্যদের কর্মনিষ্ঠার মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার জীবন যে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, সে কথা তিনি জানেন। আর তার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে যারা আসেন, তারাও ঝুঁকি নিয়েই আসেন। গতকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদর দপ্তরে এর ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিজিআরের সদস্যরা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, জাতির পিতার পরিবার, সকলের নিরাপত্তায় বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও বৈশ্বিক মানদণ্ডে গড়ে তোলার জন্য তার সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বাসস লিখেছে, পিজিআরের সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। পিজিআর সদস্যদের উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাদের নিরাপদ জীবনের জন্য তিনি তার পরিবার পরিজনের জন্য যখন দোয়া করেন, তখন আশপাশে যারা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন, তাদের জন্যও আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আমি আমাদের প্রিয় গার্ডদের বলব, ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই গার্ডদের লক্ষ্য’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি এই রেজিমেন্টের সদস্যরা সাহস, আন্তরিকতা, পেশাগত দক্ষতা, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমের শপথে বলিয়ান হয়ে সর্বদা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আপনাদের এই কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পেশাগত অনুশীলনের মাধ্যমে এই গার্ড রেজিমেন্ট আগামীতে আরও দক্ষতা অর্জন করবে।
বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে যাচ্ছে এবং কর্তব্য পালনের জায়গায় মানুষের হৃদয়ও তারা জয় করেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেজন্য তিনি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ধারাটা সূচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে আমরা ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। আজকে আমাদের বেকারত্বের হার কমে ৩ দশমিক ২ ভাগে দাঁড়িয়েছে। সেখানেও বহুমুখী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালে থাকা ৪১ দশমিক ৬ ভাগ থেকে নামিয়ে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে এনেছি।