শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

যে সাত রাজ্য গড়বে ট্রাম্প ও কমলার ভাগ্য

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে ৭টি রাজ্যকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ধরা হচ্ছে। যেখানে এগিয়ে যাওয়া প্রার্থী অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে। কেননা, এই রাজ্যগুলোর ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট বেশি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাগ্য গড়ে দেওয়া সেই ৭টি রাজ্য হলো- পেনসিলভানিয়া (১৯), জর্জিয়া (১৬), উত্তর ক্যারোলিনা (১৬), মিশিগান (১৫), আরিজোনা (১১), উইসকনসিন (১০) ও নেভাদা (৬)।

জনসংখ্যার বিচারে এই রাজ্য ৭টির ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট বেশি হওয়ায় এই রাজ্যগুলোতেই এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট থাকা পেনসিলভানিয়ায় ২০১৬ সালে ০.৭ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থেকে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।

পরে যা ২০২০ নির্বাচনে ১.২ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থেকে জয়ী হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেও সাহায্য করেছিল। এবারও তাই এই রাজ্যে বাড়তি মনোযোগ দিতেই হচ্ছে দুই প্রার্থীকে।

এদিকে আসন্ন ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের প্রধান। অন্যজন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

নির্বাচনের সময় যত গড়াচ্ছে এই দুই প্রার্থী ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। দেশটির ৫০টি রাজ্যে চালাচ্ছেন জোর প্রচারণা। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে মূলত ৭টি রাজ্যের দিকেই এখন তাকিয়ে আছেন কমলা-ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে মোট ৫৩৮টি আসনের মধ্যে ২৭০টি আসন পেতে হয় একজন প্রার্থীকে। যা পেতেই এখন জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই প্রার্থী। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতি।

তবে মার্কিন সংবিধানের অধীনে, ৫০টি রাজ্যই প্রেসিডেন্টকে নিজস্ব ভোট দেবে। এছাড়াও জটিল ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে। যেখানে প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ‘নির্বাচক’ থাকে। যে রাজ্যে যেই প্রার্থী জয়ী হোন জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোটই পেয়ে থাকেন সেই প্রার্থী।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com