বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
অর্থনীতি ডেস্ক, নগরকন্ঠ.কম : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রফতানি বাজার। এভরিথিং বাট আর্মস প্রকল্পের আওতায় ইইউয়ের দেয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এ জন্য ইইউর কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। গত অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহে বাংলাদেশ ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে, যা মোট রফতানির প্রায় ৫৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। আমাদের আশা, এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে এসেছে।’
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ শীর্ষক সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা থাকলেও অন্য কাজ থাকায় তিনি ব্রিফ করতে পারেননি।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংক।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও যেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠ সংলাপে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে।’
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য করতে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই এ ডায়ালগের উদ্দেশ্য। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবেই এ সভা করা হয়। ইতিমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এতে করে উভয়পক্ষই উপকৃত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের ২২ তারিখে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচটি সেক্টরে কাজ করার জন্য পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এগুলো হল- কাস্টমস, ফার্মাসিটিকেলস, ট্যাক্স, ফাইনানসিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এ জন্য উভয়পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।’
বাণজ্যিমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংকসহ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নগরকন্ঠ.কম/এআর