শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

কালো টাকা সাদা করতে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ পাত্তাই দেয় না সরকার

করোনা মহামারিতে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষে ব্ল্যাক মানি বা কালো টাকা সাদা করার বিরোধিতা করেননি দেশের অর্থনীতিবিদরা। তারা কালো টাকা সাদা করতে সরকারকে বেশকিছু মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের মতামত পাত্তাই দেওয়া হয়নি। উল্টো ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করতে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়েছে সরকার। এতে বছরে পর বছর দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাচালান ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যেমন উৎসাহিত তেমনি সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সামরিক আইনের আওতায় ১৯৭৫ সালে প্রথম ঘোষণা দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হয়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে শুরু করে যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন তারাই দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালান কারবারিদের বিভিন্নভাবে সুবিধা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেন। এ পর্যন্ত ১৭ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো যথাযথ সময়ে কাজে লাগিয়েছেন। তবে কালো টাকার মালিকরা দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, শেয়ারবাজার, বেকারত্ব দূর করতে প্রাতিষ্ঠানিক কোনও প্রতিষ্ঠান কিংবা স্বাস্থ্য খাতে মানুষের সেবামূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করেননি। তারা সবচেয়ে বেশি কালো টাকা সাদা করেছেন জমি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনে। এতে কালো টাকার মালিক নিজেরা আর্থিকভাবে বিত্তশালী হয়েছেন।

জানা গেছে, অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগে দেশে বহুবার নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কখনও ফল পাওয়া যায় না। এরপরও রাজনৈতিক সমঝোতায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কারণ রাজনীতিতে সব ধরনের লোকের সম্পৃক্ততা আছে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দিলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সরকারি দলের কাছের আমলারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ফলে বিভিন্ন কৌশলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com