শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
বেশ কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল। স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলের পাঠানো বিচ্ছেদ নোটিসের পরপরই আবারও আলোচনায় আসেন নোবেল। গত ১১ সেপ্টেম্বর সালসাবিলের কাছ থেকে বিয়েবিচ্ছেদের নোটিস পেয়েছেন নোবেল। আর তা প্রকাশ পায় গত ৬ অক্টোবর, সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া সালসাবিলের একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। সেখানে তিনি বলেন, ‘যদিও আমার পাঠানো ডিভোর্স লেটারটায় সাইন দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমি এখনো জানি না। একটা ডিভোর্স অথবা সংসার ভেঙে যাওয়া কখনোই সুন্দর কিছু না। তারপরও আমি নোবেলের সার্বিক সুস্থতা কামনা করি এবং তার ভবিষ্যৎ এর জন্য আমার তরফ থেকে সব সময় দোয়া থাকবে।’
এরপরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন নোবেল। জানান, সালসাবিল তাকে মাদক বাড়িয়ে, বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র গায়েব করে দিয়েছেন। ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা সরিয়েছেন। আর এগুলো করেছেন বাংলাদেশের বড় একজন তারকার ইন্ধনে! তবে ওই তারকার নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
নোবেলের সব অভিযোগের জবাবে সালসাবিল বলেন, ‘ব্যান্ড তারকা জেমস ভাইকে আমাদের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করছে নোবেল। এটা হাস্যকর। সে আমাকে বলেছে, ‘তোমার নামে এমন কথা বলব যে তোমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। বলব, জেমস ভাই তোমাকে হায়ার করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। কী বলব! জেমস ওর নাম জানে কি না, আমার সন্দেহ আছে!’
অভিযোগগুলোর বিষয়ে সালসাবিলের ভাষ্য, ‘প্রথমেই বলি, ওর এনআইডি কার্ড হারিয়েছিল আমাদের পরিচয়ের চার মাস আগে। জিডি করার পর এনআইডি কার্ড এখনো তোলেনি। এটা নির্বাচন কমিশনে খোঁজ নিলেই বের হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, সে ফেনসিডিল, হেরোইন, কোকেন এমনকি নতুন ড্রাগ এলএসডিও নেয়। তাই মদের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বললে সেটা মিথ্যা।’
এদিকে সম্প্রতি সামনে আসা এসব বিষয় নিয়ে দেশ রূপান্তরকে নোবেল বলেন, ‘আসলে আমরা ইমিডিয়েটলি দুজন দুজনের থেকে আলাদা হচ্ছি না। আমরা আবার এক হচ্ছি।’
তাহলে বিচ্ছেদ বিচ্ছেদ নাটক কেন? জবাবে নোবেল বলেন, ‘দেখেন ভাই, প্রতিটি ঘরেই কিছু না কিছু মান-অভিমান টানাপড়েন চলে। সংসারে ঝামেলা হয়। খুব স্বাভাবিক। আমরা দুজনেই ছোট। সামনের নভেম্বরে আমার বয়স ২৪ হবে। আর ওর ২০ চলে। দুজনের বয়স কম। অন্য সংসারের ঝামেলা হলে পাড়া প্রতিবেশী পর্যন্ত জানে। কিন্তু যেহেতু আমি ছোটখাটো একজন পাবলিক ফিগার এবং মানুষজন আমার সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়, ফলে আমাদের ঝামেলা হলে নিউজ হয়ে যায়। পার্থক্যটা এখানেই। এটা কিন্তু খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আমরা আরও সময় নেবো। আমরা দুজনের কেউই এই ডিভোর্স চাই না।’
সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আপনার স্ত্রী নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন আপনার সম্পর্কে, সেসব নিয়ে আপনার কোনো খেদ আছে কিনা? জবাবে নোবেল বলেন, ‘না, না না। সেসব নিয়ে আমার কোনো খেদ নেই। আমি তার হাজব্যান্ড। আমার বিষয়ে সে যা খুশি তাই বলতে পারে তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
মাঝে পাত্রী খোঁজার স্ট্যাটাসও তো দিয়েছিলেন? জবাবে নোবেল বলেন, ‘আরে ভাই, ওগুলো আমি ফাজলামি করি। আমি একটু দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ তো। মাঝে মাঝেই মজা করে দুষ্টুমি করি। এসব স্ট্যাটাস মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করেই দিই। আমার স্ট্যাটাস নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবেন না। এটাই অনুরোধ। আর পারসোনাল লাইফ নিয়ে এখন মাথা ঘামাতে চাই না।’
নোবেল আরও জানালেন, স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাদ মীমাংসা হচ্ছে। নোবেল মনে করেন গৃহের সব অশান্তি দূর হয়ে আবারও শান্তি ফিরে আসবে। আপাতত ক্যারিয়ার ও পারসোনাল লাইফদুই ক্ষেত্রেই শান্তি খুঁজছেন নোবেল। দেশ রূপান্তরকে নোবেল বলেন, ‘পারসোনাল লাইফে হ্যাপি থাকার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া কাজ দিয়েও আমি আমার ভক্তদেরও খুশি রাখার চেষ্টা করব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’