শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

কুসুম চরিত্রটি করার সুযোগ পেয়েছি

নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান ফের চমক নিয়ে হাজির। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন রণ

পুতুলনাচের ইতিকথা…

কলকাতার নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় নির্মাণ করছেন ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ ছবিটি। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি বাংলা সিনেমা নির্মাণ করছেন। ছবিটির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে বয়ে চলা জটিল সামাজিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এগোয় গল্প। রয়েছে প্রেম, বিরহ, দ্বেষ আর পারস্পরিক সহমর্মিতা। এত বছর আগে লেখা গল্পটি এখনো প্রাসঙ্গিক। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে লেখক সেই সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, যে সমাজে এক শ্রেণির মানুষ অন্য শ্রেণির মানুষকে হাতের পুতুল বানিয়ে রাখার চেষ্টা করেন বা সক্ষম হন। নির্মাতা অনেক বছর ধরে ছবিটি করবেন বলে ভেবেছেন। কিন্তু নানা জটিলতায় তিনি এতদিন পারেননি। অবশেষে শুরু হচ্ছে কাজ। ছবিটি নিয়ে কাজের ব্যাপারে আমার সঙ্গেও বেশ আগে থেকে কথা হয়েছে। আমি এখানে কুসুম চরিত্রটি করার সুযোগ পেয়েছি। আগামী মাসের একেবারে গোড়ার দিকে শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা।

সহশিল্পী …

সিনেমা তো ওয়ান ম্যান শো নয়। এটা একটা টিম ওয়ার্ক। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টকে সেরাটা দিতে হয়, তবেই একটি মানসম্মত সিনেমা হয়। বিশেষ করে আমরা যারা ক্যামেরার সামনে কাজ করি অর্থাৎ শিল্পী, তাদের পারফরমেন্সের একটা ব্যালেন্স থাকা খুব জরুরি। এতে ছবিটির মান অনেকটাই ওপরে উঠে যায়। এজন্য একদল ভালো সহশিল্পী হলে সেই জার্নি খুব সহজ হয়। এখানে তেমনি কিছু গুণী সহশিল্পী পাচ্ছি। আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাকে নানা কাজে নানা ভাবে দর্শক দেখেছেন। তাকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এ ছবিতেও ভিন্নভাবে দেখা যাবে আমাদের। আরও আছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে এর আগে কাজ করিনি। তবে নিঃসন্দেহে তিনি দারুণ অভিনেতা। স্পেশালি অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলব। তিনি আমার ভীষণ প্রিয় অভিনেত্রী। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অন্য রকম আনন্দের হবে বলে মনে করি।

কারণ …

এমনিতেই তো খুব কম কাজ করি। তাই যে কাজটি করি, ভেবেচিন্তে জেনেবুঝেই করার চেষ্টা করি। যাতে মানুষের যে ভালোবাসা এতদিনে সঞ্চয় করেছি, সেটা যেন অটুট থাকে। এ ছবিটিও করার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প, তাও আবার ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’! এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আর পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ও আমার খুব প্রিয়। তার ‘হারবার্ট’ তো বাংলা ছবির ইতিহাসে অন্যতম একটি ছবি। ভালো ভালো অভিনেতা অভিনেত্রী কাজ করছেন ছবিতে। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা গণমাধ্যমে বলেছেন, এই ছবিটার জন্য দুটো জিনিস খুব জরুরি ছিল। একটি ভালো অভিনয়শিল্পী, অন্যটি ভালো বাজেট। আমার ওপর তিনি আস্থা রেখেছেন, তাই কাজটির প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে গেছে। আমি আমার মতো করে চরিত্রটি হয়ে উঠতে চেষ্টা করব। দেখা যাক কী হয়!

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com