বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

শীতের শুরুতেই স্যামসাংয়ের দখলে মোবাইল বাজার

তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক, নগরকন্ঠ.কম : বছরজুড়ে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিত্য নতুন স্মার্টফোন দিয়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের চমকে দিতে মরিয়া ছিল। বছর জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল স্যামসাংয়ের উদ্ভাবনীসব স্মার্টফোন।

মিড রেঞ্জ থেকে হাই রেঞ্জ সবক্ষেত্রেই স্যামসাংয়ের ছিল দাপুটে অবস্থান। এই জয়যাত্রা ধরে রাখতে এবং দাপটের সঙ্গে বছর শেষ করতে এ বছরের অক্টোবর মাসে স্যামসাং দেশের বাজারে নিয়ে এসেছিল গ্যালাক্সি এএস সিরিজের নতুন দুটি স্মার্টফোন।

ট্রেন্ডি প্রজন্মের যেসব তরুণ নতুন ফোন কেনার কথা ভাবছেন; দেখতেও ভাল হবে আবার দামও হবে কম তাদের জন্যই গ্যালাক্সি এএস সিরিজ নিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

শুরুতেই নতুন এই সিরিজের ডিভাইসের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে আগ্রহী ক্রেতারা। এর অন্যতম কারণ ছিল নতুন যুগের নতুন প্রজন্মের চাহিদা পূরণে সফল হয়েছে স্যামসাং।

বাজারে আসার অল্প দিনের মধ্যেই ক্রেতাদের মাঝে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে স্যামসাংয়ের নেক্সট জেনারেশন ফোন- গ্যালাক্সি এ৩০এস ও এ৫০এস।

দ্রুতগতি সম্পন্ন, দীর্ঘমেয়াদী, অভিনব ফিচারে ভরপুর স্যামসাংয়ের এ সিরিজের ডিভাইসগুলো। স্যামসাং এ৫০এস ও এ৩০এস ডিভাইসগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। গ্যালাক্সি এ৩০এস হ্যান্ডসেটটিতে ছবি তোলার জন্য রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা। যার ক্যামেরা সেটআপ হলো- ২৫ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।

ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা গ্যালাক্সি এ৩০এস ডিভাইসটির ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরার লাইভ ফোকাস অপশন নির্বাচন করে উন্নতমানের বোকেহ ইফেক্ট ব্যবহার করতে করে দ্রুততার সঙ্গে অনবরত ছবি তুলতে পারেন।

নিখুঁতভাবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে হ্যান্ডসেটটিতে ইনটেলিজেন্ট ফ্ল ডিটেক্টর এবং সিন অপটিমাইজার টুল দুটি খুবই কার্যকর। ফোনটিতে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার ইনফিনিটি-ভি অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকছে।

ডিভাইসটিতে এক্সিনোস ৭৯০৪ অক্টাকোর প্রসেসর, ৪ জিবি র‌্যাম, ৬৪ জিবি (পরবর্তীতে ১২৮ জিবি উন্মোচন করা হবে) ইন্টারনাল স্টোরেজ (৫১২ জিবি পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে) এবং অ্যান্ড্রয়েড পাই অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।

অন্যদিকে গ্যালাক্সি এ৫০এস হ্যান্ডসেটটির শক্তিশালী ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে সেলফি তোলা কিংবা লাইভ কনসার্টের ভিডিও রেকর্ডিং কিংবা দৃশ্যবস্তুর সূক্ষ্মভাবে ক্যামেরাবন্দি করা যায়।

হ্যান্ডসেটটির ১২৩ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল মানুষের চোখ যেভাবে দৃশ্যবস্তুকে দেখতে পারেন, তেমনিভাবে ছবি ধারণে সক্ষম। এছাড়া এর মাধ্যমে খুব সহজেই ল্যান্ডস্কেপ ও ওয়াইড প্যানারোমা ছবি তোলা যায় অনায়াসে।

গ্যালাক্সি এ৫০এস ডিভাইসটির সুপার স্টেডি ফিচারের মাধ্যমে চলার পথে সহজেই ঝকঝকে ছবি তোলার পাশাপাশি দ্রুতগতিতে চলমান মুহূর্তগুলোকে ত্রুটিহীনভাবে ভিডিও ধারণ করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

ফোনটিতে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার এমোলেড ইনফিনিটি-ইউ ডিসপ্লে রয়েছে। ডিভাইসটিতে অ্যান্ড্রয়েড পাই ওয়ানইউআই সমর্থিত এবং এতে ব্যাবহার করা হয়েছে এক্সিনোস ৯৬১১ অক্টাকোর প্রসেসর, ৬ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ (৫১২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে)।

বাজারে থাকা স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ডিভাইসগুলো ইতিমধ্যে নন্দিত হয়েছে। স্যামসাংয়ের নেক্সট জেনারেশন ফোন- গ্যালাক্সি এ৩০এস ও এ৫০এসও তাঁদের সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে।

এর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিত্য নতুন উদ্ভাবন এবং বাজেটবান্ধব স্মার্টফোন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কেন গ্যালাক্সি এএস সিরিজ ফোনগুলো বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

নগরকন্ঠ.কম/এআর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com